দেখতে বেশ ভাল লাগে।
সাদা তুলোর মত গুড়িগুড়ি পড়ছে আকাশ থেকে আর সাদা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, গাছ, ও বাড়ির
ছাদ। রাস্তায় রাখা গাড়ি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে বরফের নীচে। সাদা রঙের একটা বেশ
স্নিগ্ধ ও পবিত্র ভাব আছে। জানলার পাশে বসে এই নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে বেশ লাগে। আমি তো খুব উপভোগ করেছি।
এই অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ নতুন। এর আগে মরুঝড় দেখেছি আরব মুলুকে, প্রচন্ড হাওয়া আর সঙ্গে মরুভূমির বালির ঝটকা। সয়ে গিয়েছিল। পেশাগত কারণে বেরোতে হত তার মধ্যেই। বেগতিক দেখলে গাড়ি থামিয়ে অপেক্ষা করতাম। শুধু আমি নই, সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত। প্রচন্ড ঝটকায় কিছু বালির কণা ঢুকে যেত দরজা বা জানলার ফাঁক দিয়ে। হলফ করে বলতে পারি সেই অভিজ্ঞতা মোটেই মধুর ছিল না।
আমাদের মত পর্যটক বা অতিথিদের কাছে বরফ পড়ার দৃশ্য যতই মধুর হোক না কেন, স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে এই অভিজ্ঞতা মোটেই সুখের নয়। কারণ এর মধ্যেই কাজে বেরোতে হয়, বাচ্চাদের যেতে হয় স্কুলে। জীবন তো আর থেমে থাকবে না।
রাস্তাঘাট পরিস্কার করা শহরের প্রশাসনের কর্তব্য। কিন্তু বাড়ির ভেতরের বরফ সরানোর দায়িত্ব বাড়ির লোকেদের। সে এক এলাহি কান্ড। প্রত্যেক বাড়িতে তোলা থাকে বেলচা, বেরিয়ে আসে এই বিশেষ সময়ে। বেলচায় বরফ তুলে সরিয়ে রাখা বেশ পরিশ্রম সাপেক্ষ কাজ। আমি একটু চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কোমরে বেশ জোর লাগে আর আমার কোমর বেশ নড়বড়ে। মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলনা।
পরিবারের তরুণ প্রজন্ম বরফ সাফ করল, আমি জানলায় দাঁড়িয়ে ওদের
উৎসাহ দিলাম। আর তো কিছু করার ছিল না আমার।
-
No comments:
Post a Comment