Thursday, 11 December 2025

খাইবার আশ

খাইবার আশ
ইলিশ মাছ সর্ষে বাটা, সঙ্গে গরম ভাত
মোগলাই বা চীনে খাবার, সব ব্যাটারাই কাৎ।
চিংড়ি মাছের মালাই কারি, জবাব নেই তারও
যত খুশি খাওনা তুমি, ইচ্ছে হবে আরও। 
চিতল মাছের মুইঠ্যা আছে, একটু খেয়ে দেখবেনা?
এমন জিনিস আর কোথাও খুঁজলেও ভাই পাবেনা।
একটু পেটে জায়গা রেখো, আসছে ভেটকি পাতুরি,
অতি যত্নে তৈরি রে ভাই নেই কোনো ছল চাতুরী। 
বাসন্তী পোলাও আছে, সঙ্গে কষা মাংস, 
যত্ন করে বছে নিও একটা বড় অংশ।
আমিষেতে মন ভরেনা, অন্য কিছু চাও কি?
ধোকার ডালনা খেয়ে দেখো, দেখবে কেমন ভেল্কি। আরও আছে, মোচা ঘন্ট, - একটু চেখে দেখবেনা?
একটু জিভে ঠেকিয়ে দেখো, জীবনে তা ভুলবেনা।
আরে, আরে, যাচ্ছো কোথায়, রইল পড়ে মিষ্টি,
এসব ভাই বাঙালির পারম্পরিক সৃষ্টি।
প্রেশার, সুগার কমিয়ে রাখো ওষুধ পথ্য নিয়ে,
মহা ভোজ মিস করোনা, প্রান খুলে যাও খেয়ে।
কলকাতা, ১১ই ডিসেম্বর ২০২১

Tuesday, 11 November 2025

কলেজ স্মৃতি - ১


১৯৬৭-এর ব্যাচ আমরা। বন্ধুরা প্রায় সবাই আমার মতই অবসরপ্রাপ্ত। ব্যতিক্রমও আছে। কয়েক জন আবার এখনও কন্সাল্টেন্সি করে যাচ্ছে। ওদের নাকি বাড়িতে বসে সময় কাটে না। যাই হোক, মাঝে মাঝেই আড্ডা বসে। হঠাৎ সবার বয়স কমে যায়, ভাষা হয়ে ওঠে অসংযতপ্রথম দিকে তো মহিলারা কানে আঙুল দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেন। এখন অবশ্য তাঁরাও খুব উপভোগ করছেন।

এই সব আড্ডায় স্মৃতিচারণ হয় খুব। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো আবার উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেরকমই দু-একটা ঘটনার কথা বলতে ইচ্ছে করছে আজ। প্রথমেই বলে রাখি, ঘটনাগুলো বাস্তব, কিন্তু নামগুলো কাল্পনিক। এই সব ঘটনায় কুশীলব যাঁরা তাঁদের অনেকেই এখন সমাজে খ্যাতিমান লব্ধপ্রতিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। কেউ আবার মাঝে মাঝে টিভির পর্দায়ও আসেন বা প্রেস বিবৃতি দেন। তাই এঁদের সম্মানরক্ষার্থে নামগুলো গোপন রাখতে হচ্ছে।

১৯৬২ সালে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হই। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি একটি সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠান। সারা দেশ থেকে ছাত্র আসে। আমাদের হস্টেলে শ-দেড়েক ছাত্র ছিল। তার মধ্যে বাঙালীর সংখ্যা বোধহয় পনের ষোল। বাঙলার বাইরে বাঙালীদের মধ্যে বেশ একটা বন্ধন বা বন্ড তৈরি হয়। আমাদেরও হয়েছিল।

চারদিকে সারি সারি ঘর মাঝখানে বিরাট বাগান। চার কোনায় বেসিন, বাথরুম ও টয়লেট। হস্টেলের একপ্রান্তে থাকত আলোক। সবার প্রিয়, চোখে মুখে দুষ্টুমির হাসি আর পেটে নানা রকমের লোক ঠকানো বুদ্ধি। আলোকের ঘরের কাছে থাকত ভূপিন্দর শর্মা। দিল্লীর ছেলে, পঞ্জাবী ও সুদর্শন। লম্বা পেটানো চেহারা, ঢেউ খেলানো চুল, ফর্সা রঙ, - মনে হত সিনেমার হিরো। সগর্বে একদিন ঘোষণা করল সে নাকি স্টেট লেভেলে ফুটবল খেলে। দিল্লী স্টেটের হয়ে খেলেছে। আমরা ওর নাম শুনিনি শুনে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল। মাল ক্যাচ হয়ে গেল প্রথম প্র্যাকটিসের দিন। ঝকঝকে বুট আর দিল্লীর জার্সি নিয়ে মাঠে নেমে বলে কিক করতেই মাটিতে ধপাস। একটু পরেই বোঝা গেল খুব একটা বিশেষ খেলাধূলো করেনি কখনও। স্রেফ গুলতাপ্পি। দিল্লীর জার্সি নাকি পয়সা দিলেই রাস্তার দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু হুঙ্কার কমল না ভূপিন্দরের। সেদিন তো মুড ঠিক নহী হৈ, বলে বেরিয়ে গেল। আর কোনও দিন মাঠে আসেনি। মেজাজ কিন্তু কমল না। এমন ভাব করত যেন ও অন্য সবাই ওর তুলনায় নেহাৎই নিকৃষ্ট।

আলোক একদিন আড্ডায় জানাল ভুপিন্দরকে শায়েস্তা করতে হবে। কি করে জিজ্ঞেস করাতে একটু মুচকি হাসল।

একদিন একটি অলস রবিবারের সকাল চারিদিকে বেশ একটা হৈচৈয়ের পরিবেশ। কেউ আড্ডা মারছে, কেউ নুন-শো সিনেমা দেখার জন্য তৈরী হচ্ছে, অনেকে আবার স্নানটান সারার জন্য বাথরুমের দিকে এগোচ্ছে। ভূপিন্দরের বাথরুমে যাওয়াটা ছিল দেখার মত। গায়ে বিশাল ধবধবে তোয়ালের রোব, কাঁধে আরও একটা বিশাল তোয়ালে, হাতে সুগন্ধী সাবান, দামী শ্যাম্পুর শিশি। গুনগুন করতে করতে একটি খালি বাথরুমে গিয়ে ঢুকল ভূপিন্দর। কিছুক্ষণ পরে বিরাট আর্তনাদ। প্রায় লাফাতে লাফতে বেরিয়ে এল, মুখে অশ্রাব্য গালাগালি। সে এক অদ্ভূদ দৃশ্য, - মাথার বাঁ পাশে ছোট্ট একখানা টাক, একটাও চুল নেই। হস্টেলের সব ছাত্র তখন ছুটে ভূপিন্দরের সামনে। চ্যাঁচামেচি থামতে জানা গেল, শ্যাম্পুর শিশিতে কেউ হেয়ার রিমুভার রেখে দিয়েছে। ব্যাপারটা হস্টেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট অব্দি পৌঁছল। অপরাধীকে ধরা গেল না। হস্টেল সুপার সব ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে রেখে দিলেন দু ঘন্টা। কিন্তু রহস্যের সমাধান হল না। এর পর দু-মাস মাথায় টুপি পরে ঘুরত ভূপিন্দর।

বছর খানেক পর আবার এক আড্ডায় আলোককে ধরা হল, - কান্ডটা কি তোর? অস্বীকার করল না আলোক; ফিক করে একটু হাসল শুধু।

তবে এই ঘটনার পর আশ্চর্য রকম শান্ত হয়ে গিয়েছিল ভূপিন্দর।

আলোক সরকারী চাকরী থেকে অবসর নিয়ে এখন দিল্লীর বাসিন্দা। সম্প্রতি এসেছিল কলকাতায়। এই ঘটনাটা মনে করাতে এক গাল হেসে বলল, বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছিল, বুঝলি। অতটা ঠিক হয়নি।

নিউ জার্সি ৩১শে জানুয়ারী ২০১৬  


কলঙ্ক

স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো বাড়ির লোকেরা। শেষ অব্দি অর্ণব রাজি হয়েছে। শুভস্য শীঘ্রম, - তড়িঘড়ি ঠিক হল এই রবিবারেই পাত্রী দেখতে যাওয়া হবে। সেকালের পাত্রী দেখা নয় কিন্তু। এক কেতাদুরস্ত রেস্তোরাঁয় পাত্র পাত্রী মুখোমুখী হবেন। একটু কথাবার্তা বলবেন। সঙ্গে থাকবেন দুয়েকজন দিদি জামাইবাবু টাইপ আত্মীয়। ব্যাস।

মা বাবা নিশ্চিন্ত হলেন। যা ধনুর্ভাঙা পন করে বসেছিলো ছেলে। কিছুতেই বিয়ে করবেনা। গোঁ ধরে বসেছিলো। এদিকে দারুণ সফল পাত্র। ব্রিলিয়ান্ট কেরিয়ার। মেধাবী ছাত্র , হায়ার সেকেন্ডারিতে থার্ড হয়েছিলো। প্রেসিডেন্সী থেকে ইকনোমিক্সে বিএসসি ফার্স্টক্লাস। তারপর দিল্লী স্কুল অফ ইকনোমিক্স থেকে মাস্টার্স। পরে এক চান্সেই আই এ এস। এখন ২৭ বছর বয়সে উত্তর প্রদেশে একটি জেলার কালেক্টার। বিরাট বাংলো। সরকারী খরচে বিশাল ভৃত্যকুল, গাড়ি, ড্রাইভার। বাড়ি ঘিরে বাগান। সামনে ফুল, পেছনে শাক সব্জী। মা বাবা একমাত্র সন্তানের বিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ছেলে কিছুতেই রাজি নয়। সেই একযুগ আগে স্কুলে কি ঘটনা ঘটেছিলো, তার রেশ এখনও যায়নি। খুবই সামান্য ব্যাপার, এসব তো আজকাল আকছার ঘটে। কেউ মনে রাখেনা।

অর্ণবের মনে আছে এখনও। দশ বছর আগের স্মৃতি এখনও অম্লান। মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নে ভেসে ওঠে সেই স্মৃতি। রাতে ঘুম ভেঙে যায়, জেগে থাকে সারারাত। ছিঃ ছিঃ ছিঃ, কি লজ্জা। সামান্য কয়েক সেকেন্ডে দাগী হয়ে গেলো চিরদিনের মত। সবাই অপরাধী বলে জানলো অর্ণবকে। শুধু স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন একমাত্র ব্যতিক্রম।

মা বাবা প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো ছেলের কাউকে পছন্দ, লজ্জায় বলতে পারছেনা। অর্ণবের মাস্তুতো দিদিকে লেলিয়ে দেওয়া হল। দিদি জামাইবাবু বহু চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলেন। না, কারও সঙ্গে ভাব নেই। অতঃপর শুরু হল পাত্রী খোঁজা। এমন সুপাত্র কেই বা হাতছাড়া করে। প্রচুর প্রস্তাব এলো, সুন্দরী, বিদুষী, - ছবি সহ। অনেকেই আগ্রহী। কিন্তু অর্ণব অনড়, বিয়ে সে করবেনা। জোর করে, কায়দা করে  সুন্দরী গুণবতী মেয়েদের ছবি দেখানো হয়েছে। এক পলক তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে অর্ণব। আজ কি হল কে জানে? কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো ছবির দিকে। ফেরত দিয়ে খুব অস্ফুট স্বরে বললো , - ঠিক আছে, আমি রাজী। যদিও সেটা অস্বাভাবিক নয়। মেয়েটি পরমা সুন্দরী, ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি করছে।

ড্রয়িং রুমে বসে মা বাবা আলোচনা করছেন, রোববারে কারা কারা যাবে। বাবা বলছেন মা, বাবা আর অর্ণবই যাবে। আর কারও যাওয়ার দরকার নেই। মা আবার চাইছেন অর্ণবের মাস্তুতো দিদি আর জামাইবাবু যাবে শুধু। আজকালকার ছেলে মেয়েরাই পাত্রীর সাথে খোলাখুলি কথা বলতে পারবে।

নিজের ঘরে আধশোয়া হয়ে শুয়ে ভাবছে অর্ণব। চোখ বোঁজা। দশ বছর আগের সেই দগদগে স্মৃতি হঠাৎ যেন জেগে উঠেছে। সামান্য ঘটনা, লোকের মুখে ফুলে ফেঁপে হয়ে উঠলো জীবনের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ক্লাস টুয়েলভের শেষ দিকে। হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার এক মাস আগে। কো-এডিকেশন স্কুল। শুনলো মেয়েদের বাস্কেটবল টীমে দুর্দান্ত খেলছে একটি মেয়ে। ক্লাস এইটে পড়ে, এবার নাইনে উঠবে। নাম রিয়া। খেলাধুলোয় বরাবরই উৎসাহী অর্ণব। কৌতুহলি হয়ে খেলা দেখতে গেলো। সত্যিই খুব ভালো খেলে মেয়েটি। বেশ লম্বা, দেখলে বেশ বড় মনে হয়। আগে কখনও মেয়েটিকে দেখেনি অর্ণব। কয়েক মাস আগে দিল্লী থেকে এসেছে। ভালো লেগে গেলো মেয়েটিকে। খুব ইচ্ছে হলো একটু আলাপ করে কিন্তু ভীড়ের মধ্যে একটু সঙ্কোচ হচ্ছিলো।

সুযোগ এসে গেলো দিন সাতেকের মধ্যে। সেদিনের মত ক্লাস শেষ। তাড়াতাড়ি লাইব্রেরীর দিকে ছুটছিলো অর্ণব। গোটা দুয়েক বই ফেরত দিতে হবে। বিকেল বেলা, মেঘলা দিন, লাইব্রেরির ঢোকার মুখটা একটু অন্ধকার। ঢোকার মুখেই দেখতে পেলো রিয়াকে। গোটা কয়েক বই নিয়ে বেরোচ্ছে। চোখ নামানো হাতের বইয়ের দিকে। কাছাকাছি আসতেই অর্ণব হঠাৎ বলে উঠলো, -অ্যাই শোনো তোমার সঙ্গে একটু কথা বলবো ভাবছিলাম.........

কথা শেষ হবার আগেই হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো রিয়া। আধো অন্ধকারে ওই ছায়ামূর্তির মত এক অবয়ব দেখে ভয়ে কেঁপে উঠেছিলো ক্লাস এইটে পড়া মেয়ে। অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ছুটে এলো স্কুলের পুরনো দারোয়ান, সদ্য নিযুক্ত নতুন লাইব্রেরিয়ান। মূহুর্তের মধ্যে ভীড় জমে গেলো। খবর গেলো স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে। সবাই এসে দেখলো এক কোনায় পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে অর্ণব, আর একটি চেয়ারে বসে রিয়া অঝোরে কাঁদছে আর কেঁপে উঠছে থেকে থেকে।

সারা স্কুলে ছড়িয়ে পড়লো কেচ্ছা। কি আশ্চর্য, শেষে কিনা অর্ণবের মত ছেলে! এত ভালো ছাত্র, সুন্দর ব্যাবহার,  সে কিনা ভেতরে ভেতরে এই। ছিঃ ছিঃ। অভিভাবকেরা প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করলেন। সংবাদ মাধ্যমেও পৌঁছলো খবর। ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র, একটি নাবালিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে। নামী স্কুল বলে ঘটনা চেপে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রিয়ার বাবা অর্ণবের রাস্টিকেশন ও গ্রেফতারের দাবী জানালেন। প্রিন্সিপাল কিন্তু বুঝেছিলেন অর্ণব নির্দোষ। শক্ত হাতে সামাল দিলেন পুরো ব্যাপারটা। অর্ণবকে স্কুল থেকে তাড়ানোর প্রশ্নই ওঠেনা। হায়ার সেকেন্ডারিতে স্ট্যান্ড করবে অর্ণব, তিনি নিশ্চিন্ত।

রিয়ার বাবা মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন এবং শাসিয়ে গেলেন তিনি দেখে নেবেন স্কুলের প্রিন্সিপাল ও গভার্নিং কাউন্সিলকে।

এই ঘটনার পর আর স্কুলে যায়নি অর্ণব। অবশ্য হায়ার সেকেন্ডারির আগে ক্লাসও বিশেষ হয়নি। দু-তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া আর কারও সঙ্গে যোগাযোগও রাখেনি। যথারীতি পরীক্ষার ফল বেরোলে দেখা গেলো বোর্ডে থার্ড হয়েছে অর্ণব। স্কুল সম্বর্ধনার প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলো কিন্তু প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য শিক্ষকদের বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে আসতে ভোলেনি।

এই ঘটনা সেই দিন থেকে কুরে কুরে খেয়েছে প্রায় প্রতি মূহুর্তে। সেই অপমান সেই কলঙ্কের স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে আছে মনে। আজ অব্দি কোনও মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেনি দুর্নামের ভয়ে। এড়িয়ে গেছে সবাইকে, আবার যদি ঘটে কোনও অঘটন!

********************************************

অদৃষ্টের কি আশ্চর্য পরিহাস। আগামী রবিবার সেই রিয়াকেই দেখতে যাবে অর্ণব!

কলকাতা
১০ই নভেম্বর ২০২৫